কক্সবাজার প্রতিনিধি :
রামু উপজেলার গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন এর শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি এর ইনচার্জ (আইসি) শাহাজাহান মনির দায়িত্ব পালনকালে নানাবিধ অনিয়ম, চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার করার হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে এলাকার সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে আসছে।
গর্জনিয়া বাজার থেকে বিভিন্ন সড়কে যাতায়াতের লাইন থেকে টমটম, মোটর সাইকেল, সিএনজি লাইনম্যানদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট আকারে মাসোহারা আদায় করে আসছে। ৫ আগস্টের পরে ছাত্র-জনতার প্রতিবাদের মুখে মাসিক মাসোহারা আদায় বন্ধ ছিলো। কিন্তু, দুঃখ জনক হলেও সত্য এই আইসি শাহজাহান মনির সাহেব আসার পর পুনরায় মাসোহারার জন্য লাইনম্যানদের কে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন।
গর্জনিয়া বাজার টমটম লাইনম্যান মোঃ হেলালকে আইসির পক্ষে ফজলুর নামে একজন কনস্টেবল গত কয়েক মাস ধরে মামলা, গাড়ী জব্দের হুমকি দিয়ে মাসিক মাসোহারা দাবী করে আসছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর লাইনম্যান মোঃ হেলালের কাছ থেকে কনস্টেবল ফজলুর টমটম লাইন বাবদ ৩,০০০/ টাকা নেন। সিএনজি ও বাইক লাইন থেকেও মাসিক মাসোহারা আদায় করে নেন বলে জানা যায়।
চোরাকারবার বন্ধে ও চোরাকারবারের সঠিক তথ্য দেওয়ার পরেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়া। কোন কোন সময় তথ্য পাচার হয়ে চোরাকারবাররা গতিপথ পরিবর্তনের নজিরও দেখা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, চোরাকারবারে যারা জড়িত তাদের প্রশ্রয় দিয়ে নির্বিঘ্নে চোরাকারবার অব্যাহত রেখেছে এই আই সি। চোরাকারবারে ব্যবহৃত বাইক থেকে ১০০০ টাকা ও টমটম বা অন্য গাড়ী থেকে ২০০০ টাকা করে নেওয়া হয়। কেউ টাকা না দিলে মালামালসহ গাড়ী জব্দ করেন বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
উপর্যুক্ত অভিযোগের তথ্য জানাতে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি এর ইনচার্জ (আইসি) শাহাজাহান মনিরের কাছে শিক্ষার্থী ও নাগরিকরা গেলে তিনি প্রমাণ চায়। কনস্টেবল ফজলুর সাহেবের নাম ও কোন মোবাইল নাম্বার (01869412941) থেকে লাইনম্যানদের কাছ থেকে টাকা দাবী ও চাপ দেওয়া হচ্ছিল তা উপস্থাপন করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন-তোমরা কারা এসব বিষয়ে কথা বলার? এসব বিষয়ে হিসাব চাওয়ার তোমরা কারা? বেশী কথা বললে ৫ বছরের জেল দিবো, মামলা দিবো, সব গাড়ি জব্দ করবো, এখন গ্রেফতার করে চালান দিবো এবং চিৎকার দিয়ে বলে উঠেন এই ‘হ্যান্ডকাপ লাগা’।
শিক্ষার্থীদের দাবী অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি শাহজাহান মনিরের বিরুদ্ধে দ্রুত বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া। তদন্তকালীন সময়ে তাঁকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক সংশ্লিষ্ট গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির অভিযুক্ত সকলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, সীমান্তে মাদক চোরাকারবার রোধ নিশ্চিত করতে ফাঁড়িতে একজন সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ করা। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে উল্লিখিত দাবিগুলোর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশা রেখেছেন শিক্ষার্থী এস এম নজরুল ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম, মো তারেক।